Uncategorized
কোন ঘরে কেমন আলো প্রয়োজন জেনে নিন
সাশ্রয়ী, দীর্ঘমেয়াদি এবং অল্প ওয়াটে তুলনামূলক বেশি আলো পাওয়া যায় বলে এখন ঘরে এলইডি লাইটের ব্যবহার বেশি হচ্ছে। এটি ঘরের তাপমাত্রা বাড়ায় না, তাই গরমের দিনের জন্য বিশেষভাবে উপযুক্ত। উষ্ণ ও শীতল দুই ধরনের এলইডি লাইটই পাওয়া যায়। সে কারণে গ্রীষ্ম ও শীত—সারা বছরই এলইডি লাইট ব্যবহার করা যায়।
ঘরভেদে আলোর প্রকৃতি আলাদা হওয়া ভালো। যেমন খাবারের ঘরে চাই উষ্ণ আলো, আবার শোবার ঘরে শীতল আলো মানানসই। মানবদেহের কর্মক্ষমতা ও প্রাণশক্তির ওপরও আলোর প্রভাব রয়েছে। নীলচে বা সাদাটে আলোয় মানুষের মস্তিষ্ক উজ্জীবিত হয় ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। হলদে আলোয় মস্তিষ্ক স্তিমিত হয়। সে কারণেই পড়ার ঘরের জন্য সাদা বা শীতল আলো ভালো এবং ঘুমানোর জন্য হলদে বা উষ্ণ আলো সহায়ক।
ঘরের ধরন ও আকার অনুযায়ী আলোর ধরন ও পরিমাণ নির্বাচন করতে হবে। এক ঘরে এক ধরনের আলো না রেখে কয়েক রকম আলোর সংমিশ্রণ রাখুন। প্রয়োজনে ব্যবহার করা যাবে, ঘরের সাজেও বৈচিত্র্য আসবে। যেমন বসার ঘরে দেয়ালের আলোর পাশাপাশি রঙিন আলোর এক বা একাধিক টেবিল ল্যাম্প রাখতে পারেন। এতে আলো-আঁধারির মধ্যে আড্ডা আরো প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে। খাবারের ঘরেও দেয়ালের পাশাপাশি সিলিং থেকে টেবিলের ওপর ঝুলন্ত লাইট দিতে পারেন। এতে খাওয়ার সময় টেবিলে বাড়তি আলো পাওয়া যাবে। সাধারণত বসার ও খাবারের ঘরের আয়তন ২০০ থেকে ২৫০ বর্গফুট হয়। এ রকম জায়গার জন্য ৮০ থেকে ১০০ ওয়াটের এলইডি আলো প্রয়োজন হয়। বসার ও খাবারের ঘরে ব্র্যাকেট লাইট রাখলে সেখানে ৪০ ওয়াটের বাতি রাখুন। দেয়ালে ছবি বা পেইন্টিং থাকলে কিংবা শোপিস হাইলাইট করতে স্পটলাইট ব্যবহার হয়। চাইলে ফলস সিলিংয়ে পকেট লাইট বা স্পটলাইট ব্যবহার করা যেতে পারে। জায়গা বুঝে স্পটলাইটের জন্য ৫ থেকে ১০ ওয়াটের আলো যথেষ্ট।
শোবার ঘরে আলো হবে অন্য ঘরের চেয়ে তুলনামূলক কম। এই ঘরের আলো কিছুটা নরম ও কোমল রাখুন। ঘুমানোর আগে বই পড়ার সুবিধার জন্য বিছানার পাশের দেয়ালে বেডসাইড টেবিল ল্যাম্প রাখতে পারেন। শোবার ঘরে কোমল আলো রাখলেও ড্রেসিং টেবিল ও আয়নার সামনে উজ্জ্বল আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, ড্রেসিং ইউনিটের আলো যেন আয়নার বিপরীত দিকের দেয়ালে না হয়। সাধারণত শোবার ঘরে ১২০-১৫০ স্কয়ারফুটের জন্য ৫০-৬০ ওয়াটের এলইডি লাইট মানানসই। এ ক্ষেত্রে পুরো ঘরের জন্য ৩০ ওয়াট এবং ড্রেসিং ইউনিটের জন্য ৩০ ওয়াটের বাতি লাগান। আর বেডসাইড টেবিল ল্যাম্পের জন্য ২০ ওয়াটই যথেষ্ট। বাচ্চাদের ঘরের জন্যও কোমল আলো ভালো। তবে পড়ার টেবিলে থাকতে হবে উজ্জ্বল আলো। সে জন্য পড়ার টেবিলের ওপর আলাদা লাইট রাখুন।
রান্নাঘরের দেয়ালে ও ওপরের ক্যাবিনেটের নিচের দিকে পর্যাপ্ত আলোর লাইট রাখুন। এতে কাটা-বাছা ও রান্নার সময় সুবিধা হবে। বাথরুমে আয়নার ওপর এবং শাওয়ারের জায়গায় যথেষ্ট আলোর ব্যবস্থা রাখা জরুরি। রান্নাঘর ও বাথরুমের জন্য ১০ থেকে ১২ ওয়াটের একাধিক এলইডি লাইট রাখুন। এ ছাড়া বাড়ির প্রবেশপথে ও করিডরে ৬ থেকে ১০ ওয়াটের আলোই যথেষ্ট।